ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এলামনাই উদ্যাপন করল তাদের ৯ম রি-ইউনিয়ন। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন
একাউন্টিংয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে পরিকল্পনামন্ত্রী এ এইচ এম
মুস্তফা কামাল। একাউন্টিং এলামনাইদের এ জমজমাট অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে
আসেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সকাল
সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান ছিল বিভিন্ন
কর্মসূচিতে ঠাঁসা। এলামনাই সদস্য, তাদের স্পাউজ ও সন্তানদের সোৎসাহ
উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে করে তুলেছিল প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। এলামনাইরা একটি
দিনের জন্যে হলেও ফিরে এসেছিলেন বহু স্মৃতিবিজড়িত স্বপ্নভূমিতে, আচ্ছন্ন
হয়েছেন নস্টালজিয়ায়।
টিএসসি’র
প্রবেশ দ্বারেই অতিথি অভ্যাগতদের বিভিন্ন উপহারে বরণ করে নেয়া হয়। এ পর্বের
আহ্বায়ক ছিলেন প্রফেসর ড. মাহমুদা আকতার । বড়দের দেয়া হয় ল্যাপটপ ব্যাগ,
টি-শার্ট, স্পাউজদের দেয়া হয় আকর্ষণীয় বেডশীট আর ছোটদের দেয়া হয় রং-বেরংয়ের
ফ্লাস্ক এবং আরো কত কি!
অতিথিদের
সকালের নাস্তায় রাখা হয় বেশ ক’টি আইটেম। বেলা ২টায় ভোজ; প্রত্যেককে ১টি
করে হটপট দেয়া হয়, যার মধ্যে সাজানো ছিল সুস্বাদু, উন্নতমানের বিভিন্ন
খাবারের আইটেম। এরূপ ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা ও ব্যবস্থাপনায় খাবার পরিবেশন
ব্যবস্থা অতিথিদের বেশ পরিতৃপ্ত করে। বিকেলে আরেক প্রস্থ নাস্তা অর্থাৎ
ঐরময ঞবধ. এছাড়া সারাদিন সার্বক্ষণিক পরিবেশনা ছিল চা-কফি এবং আইসক্রীম।
আনুষ্ঠানিক
উদ্বোধনী সেশন শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯ টায়। পবিত্র র্কোআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে
অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতিথিবর্গকে পুষ্পমাল্যে বরণ করে নেয়া হয়। স্বাগত
বক্তব্য রাখেন ৯ম রি-ইউনিয়নের আহ্বায়ক ড. আব্দুল মান্নান সিকদার। এরপর
বক্তব্য রাখেন একাউন্টিং এলামনাইয়ের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন, চিফ
এডভাইজার প্রফেসর ড. এম হারুনুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড
ইনফরমেশন সিস্টেম্স এর চেয়ারপার্সন প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট আবু
সাঈদ মোঃ শায়ফুল ইসলাম। তাছাড়া ৯ম রি-ইউনিয়নের সদস্য-সচিব মোঃ তোফায়েল
আহমেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন।
বেলা
সাড়ে ১১টায় বিশেষ মেহমানদের জন্য উদ্বোধনী চা পরিবেশন করা হয়; রাখা হয়
আকর্ষণীয় উপভোগ্য আইটেম। জুম্আ নামাজের জন্য বিরতি রাখা হয়। এরপর মধ্যাহ্ন
ভোজ। এলামনাই সন্তানদের পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য অডিটোরিয়ামের বাইরে ছিল
পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা।
একাউন্টিং
এলামনাই সদস্যগণ কর্মজীবনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত
রয়েছেন। সবার সঙ্গে সবার সহজ যোগাযোগ সম্ভব হয় না। তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন
এবং বর্তমান কর্মজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানে
বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সাড়ে ৪টায়
দেয়া হয় বৈকালিক চা। এরপর আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র।
সন্ধ্যা
সোয়া ৬টায় অনুষ্ঠিত হয় এদিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের পরিবেশনায় উপস্থাপিত হয় গান ও নাচের অনুষ্ঠান।
সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টায় সারাদিনের আনন্দ-উচ্ছ্বাস, নৃত্য-গীত, ভুরিভোজের উপচেপড়া
আনন্দের ইতি টানা হয়; এলামনাইরা ফিরে যান নিজ নিজ ঠিকানায় অন্তরে ধারণ করে
একটি দিনের আনন্দঘন স্মৃতি।
প্রধান অতিথির ভাষণ
অনুষ্ঠানের
প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তফা কামাল এমপি, যিনি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম্স এর সাবেক ছাত্র। তিনি
বক্তৃতায় বলেন, আমি এ বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র; নিজ ভুবনে, আপন জনের মাঝেই
ফিরে এসেছি। দেশে অরাজকতা, নাশকতা, ধ্বংসের মধ্যেও এলামনাইরা ভালোবাসার
আকর্ষণে সমবেত হয়েছেন। এলামনাই সদস্যগণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং সুশাসন
প্রতিষ্ঠার জাতীয় লক্ষ্যের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে কাজ করে যাবেন এটি আমাদের
প্রত্যাশা।